নিহত বুলবুলি বেগম সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া গ্রামে সুজন সেখের স্ত্রী ও কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের মো: সুরুজ্জামান সেখের মেয়ে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের ধুকুরিয়া গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে নিহতের মহদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, নিহতের বাবা মো: সুরুজ্জামান সেখ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ে করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২২ মার্চ তার মামা শশুরকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল দেখতে যায়। মামা শশুরকে দেখে তাদের ভাড়া বাসায় অবস্থান করে। পরবর্তীতে গত ২৪ মার্চ রাত ৩টায় দিকে বুলবুলির তীব্র মাথা ব্যাথা, বমি ও পেটে ব্যাথাসহ পাতলা পায়খানা শুরু হয়। পাতলা পায়খানা উপক্রম দেখে বুলবুলির ভাসুর জহুরুল ইসলাম পঙ্গু হাসপাতালের পাশের ফার্মেসী থেকে ঔষধ এনে বুলবুলিকে খাওয়ায়। এতে বুলবুলির কিছুটা ভালো অনুভব হলে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরে দিন সকালে বুলবুলি বেগম ঘুম থেকে উঠে গোসল করতে গিয়ে বাথ রুমে পড়ে যায়। তখন তার বুলবুলি বেগম তার স্বামী সুজনকে বলে আমার বড় ছেলেকে দেখব আমাকে বাড়ী নিয়ে যাও। তখন সুজন একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা করে পথি মধ্যে বুলবুলির পাতলা পায়খানা আরো বেড়ে যায়।
ঢাকার পথে একটি ক্লিনিকে বুলবুলিকে দেখালে ডাক্তার স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বুলবুলি বেগমকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। বুলবুলির অবস্থার খারাপ হলে কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে ২৫ মার্চ বিকালে বুলবুলি মারা যায়।
মো: সুরুজ্জামান সেখ অভিযোগ করে বলেন, সুজন সেখ ও তার বাবা ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন মিলে আমার মেয়েকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোর কারণে বুলবুলি মারা গেছে। এই কারণে আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিরদ্ধে মামলা করেছি। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে বুলবুলিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো সুজন ও তার পরিবারের লোকজন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহত বুলবুলির স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।