এসময় উল্লাপাড়া উপজেলা মহিলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মহিলা সম্পাদিকা ও সলপ ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সাবেক মহিলা মেম্বর সুমাইয়া সরকারের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলটি সলপ হাই স্কুল থেকে বের হয়ে চড়পাড়া মাঠে এসে শেষ হয়। মিছিলে সলপ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে প্রায় ৯শ মহিলা-পুরুষসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহন করেন।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলা মহিলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মহিলা সম্পাদিকা ও সাবেক ইউপি সদস্য (মহিলা) সুমাইয়া সরকার অভিযোগ করে বলেন, আজকের এই কর্মসূচি ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের হতদরিদ্র মহিলাদের নিয়ে চেয়ারম্যান ইঞ্জি. শওকাত ওসমানের দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও নারীদের অধিকার বঞ্চিত যেমন, বিধাবা ভাতার কার্ড, বয়স্ক ভাতার কার্ড, ভিজিডি কার্ডের জন্য টাকা নেওয়া এবং নারীদের মাটি কাটার কাজের জন্য চেয়ারম্যান ২০ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এই কাজটি সরকার বিনামূল্যে করার সুযোগ দিয়েছেন। নারীদের সেলাই মেশিন প্রশিক্ষনের জন্য বিনামূল্যে করার পাশাপাশি প্রশিক্ষন প্রাপ্তিদের প্রশিক্ষন শেষে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য টাকা দিয়ে থাকলেও চেয়ারম্যান সেই প্রশিক্ষনের জন্য জন প্রতি ১২’শ টাকা করে নিয়েছেন মর্মে উপযুক্ত প্রমাণ আছে। এছাড়াও সন্তানদের জন্মনিবন্ধন নেওয়ার জন্য ৬’শ টাকা নিয়ে থাকেন যা ইউনিয়ন পরিষদ নীতিমালার পরিপন্থি।
সলপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আকন্দ বলেন, চেয়ারম্যান ইঞ্জি. শওকাত ওসমান ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের সাথে মিথ্যা কথা বলা এবং কোনো কারণে চেয়ারম্যানের নিকট গেলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে পাওয়া যায় না। ইউনিয়নের বিধবাদের বিধবা ভাতা, বয়স্কদের বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে চেয়ারম্যানের লোকজন টাকা নিলেও তাদের কোনো কার্ড করে দেয়নি।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজ্জল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এই বিষয়ে কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সলপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়র শওকাত ওসমান জানান, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। আমার বিরুদ্ধে যে মনগড়া অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। সুমাইয়া সরকার ও হেলাল উদ্দিন আকন্দ দুজনই আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কৃত। আমি কোন দূর্নীতি করি নাই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।