শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিক ভাবে এটির যাত্রা শুরু হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে গঠিত কো-অপারেটিভ সোসাইটির আওতায় এটি পরিচালিত হবে। প্রত্যেক জনসাধারণের জন্য এটি থাকবে উন্মুক্ত। সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ এখানে আসতে পারবেন এবং খেতে পারবেন। এখানে দুপুর ও রাতের খাবারের পাশাপাশি সকালের নাস্তায় থাকবে উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবাবের নিশ্চয়তা। তরুণ স্থপতি তরিকুল ইসলাম অপু’র তত্বাবধানে সবুজ বেষ্টুনিতে গড়ে উঠা পুলিশ ক্যাফে এর অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক পরিবেশ, রয়েছে আলোকসজ্জা। থাকছে পরিবার-পরিজন নিয়ে উন্মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানোর বাড়তি বিনোদন ব্যবস্থা। পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক শপিংমল। যেখানে পাওয়া যাবে নতুন নতুন সব শো-পিচ, সাজসজ্জার আধুনিক পণ্যসামগ্রী ও উন্নত পোশাক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম। অনুষ্ঠানে পুলিশ বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ক্রীড়া সংগঠক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সংস্কৃতি অঙ্গণের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আগতরা সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে ব্যক্তি উদ্যোগে এতো সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ এবং প্রশাসনিক এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টুনির মধ্যে ‘পুলিশ ক্যাফে’ স্থাপন করায় পুলিশ সুপারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এসময় জেলা পরিষদ প্রশাসক সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে একটি উন্নতমানের খাবারের পরিবেশ এবং প্রিয়জনদের নিয়ে সময় কাটানোর জায়গার খুবই অভাব ছিল। নান্দনিক পরিবেশে গড়ে উঠা এই ক্যাফে মানুষের সেই অভাব দুর করবে।
পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বলেন, ব্যক্তিগত অর্থায়নে এবং কিছু মানুষের আর্থিক সহায়তায় এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে সকল শ্রেনী-পেশার মানুষজন উন্নত ও মানসম্মত খাবারের পাশাপাশি বাড়তি বিনোদন এবং পছন্দমত বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী সাশ্রয়ী মুল্যে কেনাকাটার সুযোগ পাবেন। বেসরকারী লোকজনদের দ্বারা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হলেও আগতদের সার্বিক সেবা ও নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে। প্রত্যেক জনসাধারণকে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় কাটাতে এই ক্যাফেতে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।