তাড়াশ প্রতিনিধি : তাড়াশের মধ্যযুগীও কায়দায় ডেকোরেটরের কর্মচারী জুয়েলকে (২০) গাছের সাথে ঝুলিয়ে মারপিটের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে হৈচৈ পরে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের রায়হান আলীর চা স্টলের সামনে গত রবিবার রাতে।
অভিযোগ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের হাসিনুর খাঁ’র ছেলে জুয়েল খাঁ (২০) গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা মাছ পাড়া গ্রামের শিপন (৪৫) এর ডেকোরেটরের দোকানে কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। জুয়েলের যাতায়াতের জন্য শিপন একটি পুরাতন বাইসাইকেল কিনে দেয়। এদিকে জুয়েলকে ঠিক মত বেতন-ভাতা না দেওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে জুয়েল দোকানে যায় না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিপন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুজন সরদারকে বিষয়টি জানায়। ইউপি সদস্য সুজন ও মাজেদুল গত রবিবার রাতে জুয়েলকে ধামাইচ বাজার থেকে ধরে এনে ঈশ্বরপুর গ্রামের রায়হান আলীর চা স্টলের সামনে একটি গাছের উপরে পা রশি দিয়ে বেঁধে মাথা নিচু করে মারপিট শুরু করে। খবর পেয়ে জুয়েলের বাবা হাসিনুর তার ছেলেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে ইউপি সদস্য সুজন সরদার তার নিকট ৫০হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে ইউপি সদস্য সুজন সরদার মধ্যযুগীও কায়দায় মারপিট শুরু করে। জুয়েলের পা উপরের দিকে বেঁধে মাথা নিচু দিকে রেখে ব্যাপক মারপিট করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনাটি জনৈক এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে চারিদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। গতকাল সোমবার তাড়াশ থানা পুলিশ উক্ত ইউপি সদস্য সুজন সরদারকে আটক করলেও তা প্রকাশ করা নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি করে। এব্যাপারে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্য সুজন সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। বাদী মামলা দায়ের করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাদীকে ফোন করা হয়েছে। অন্য একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, মিমাংসা করার জন্য বাদীকে চাপসৃষ্টি করা হচ্ছে। আর এই জন্যই সে থানায় আসতে ভয় পাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান আসলে এভাবে জুয়েলকে মারপিট করা ঠিক হয়নি। তারা ইউপি সদস্য সুজন সরদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।