নন্দীগ্রাম প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে চাঁদার দাবিতে জোর পূর্বক কৃষকের জমি দখল, মারপিট, ভাংচুর ও প্রান নাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষীতে জানাযায়, উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নের চকরামপুর গ্রামের আব্দূল হামিদের ছেলে আব্দুল বারী তার ১৩০ নং খতিয়ানের ৩৪৪ দাগের ১ একর ৭ শতক জমি দীর্ঘদিন ভোগ দখল ও চাষাবাদ করে আসছিলো এমতাবস্থায় কিছুদিন পূর্বে চকরামপুর গ্রামের মো: সিদ্দিক হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলামের নেত্তৃতে জাহিদুর রহমান, হাবিবুর রহমান, ফারুক হোসেন, শহিদুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন আব্দুল বারীর নিকট থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে মারপিট ও প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো তারা। এদিকে গত ১২ফেব্র“য়ারী শনিবার সকাল দশটায় আব্দুল বারী তার জমিতে সার প্রয়োগ করতে গেলে জাহিদুল ইসলামের নেত্তৃতে ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখলের জন্য আব্দুল বারীর উপর হামলা করে। এসময় আব্দুল বারীর পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করে আহত করে। ভুক্তভোগী আব্দুল বারী পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে চলে যায়। পরে পুলিশ চলে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা দাবিকৃত টাকা না দিয়ে জমিতে গেলে প্রান নাশের হুমকি দেয় তারা।
এলাকাবাসী জানায়, জাহিদুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট ও তাদের কাছে জিম্মি পুরো গ্রামবাসী। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে জমি দখল চাঁদাবাজী মারপিট করা তাদের প্রতিদিনের কাজ। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়না এলাকার লোকজন।
ভুক্তভোগী আব্দুল বারী জানান, আমরা নিরীহ কৃষক। জাহিদুল ইসলাম ও তার দলবল বেশ কিছুদিন ধরে আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে আমাকে আমার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। পরে আমি আমার জমিতে সার দিতে গেলে তারা দলবল নিয়ে গিয়ে জমি দখল করতে চাইলে আমি বাধা দেই তখন তারা আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে। এরপরে তারা আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে বসতবাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করে তিন লাখ টাকার ক্ষতি করে। তারা যাবার সময় বলে যায় তাদের দাবিকৃত দুইলাখ টাকা না দিয়ে জমিতে গেলে আমাদের প্রাননাশ করবে আমাদের বাড়ি ঘর আগুনে পুড়িয়ে আমাদের গ্রামছাড়া করবে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।