ঈদের পর মানুষের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধায় লকডাউন পেছাচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছাড়ালেও তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা। করোনা মহামারির মধ্যে লকডাউন ঘোষণা ও তা বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এই বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) শেখ রফিকুল ইসলাম বুধবার বলেন, লকডাউন নিয়ে আগে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তই আছে। লকডাউন নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অর্থাৎ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২৩ জুলাই শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকবে। লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। গত ১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে ১৪ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া লকডাউনের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস, দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কারও ঘরের বাইরে বের হওয়া মানা।
লকডাউনের মধ্যে শিল্প মালিকেরা কারখানাগুলো খোলা রাখার দাবি জানালেও সরকার শুধুমাত্র ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প কারখানা খোলা রাখার অনুমিত দিয়েছে। এ ছাড়া খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা এবং কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ লকডাউনের আওতা বহির্ভূত রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। ধাপে ধাপে এর মেয়াদ বাড়িয়ে বিধিনিষেধগুলো শিথিল করা হয়। করোনার সংক্রমণ বাড়লে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে লকডাউন দেওয়া হয়। ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপরেও সংক্রমণ না কমায় গত ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন কার্যকর করা হয়। কোরবানির ঈদের আগে আট দিনের জন্য সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।