মো; শহিদুল্লাহ বুলবুল:
বৃটিশ আমল হতেই সিরাজগঞ্জ এর নাম সারা দুনিয়ায় পরিচিত। আপনারা আবার ভাবছেন এ কি বলছেন? জী, সত্যি তাই! বৃটিশ আমলে সিরাজগঞ্জ ছিল- ব্যবসা-বাণিজ্য এর কেন্দ্র বিন্দু- ঐ সময় ছিল রেল, নৌ ও সড়কপথ ব্যাপক উন্নত। সিরাজগঞ্জ এর সাথে সরাসরি কলিকাতার রেল যোগাযোগব্যবস্থা চালু ছিল।
সিরাজগঞ্জ ছিল পাটের কারবার এর বিখ্যাত। সিরাজগঞ্জে গড়ে উঠেছিল অনেক পাটের কুটি। আবহমান বাংলার ঐতিহ্য তাত শিল্পের জন্মভূমি এই সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ ঐতিহাসিক যমুনানদীর তীরে অবস্থিত। যমুনা বিধৌত এই সিরাজগঞ্জ এর জনগণ কিন্তু সাংঘাতিক সাহসী। যুগ-যুগ ধরে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তারা বরাবরই অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। অনেক জ্ঞানী- গূনীদের এই পূন্যস্থান সিরাজগঞ্জ।
ঐতিহাসিক যমুনা ব্রীজ এর জন্য সিরাজগঞ্জ বিখ্যাত। উত্তর বঙ্গের শুরু এই সিরাজগঞ্জ। ঐতিহাসিক চলনবিলের অধিকাংশ জায়গা আমাদের সিরাজগঞ্জ এর ভিতর। রেল পথ এর গুরুত্ব বেশী থাকায় যমুনাসেতুর পাশ দিয়ে পৃথক আরেকটি রেল- সেতু তৈরির কাজ চলছে। সিরাজগঞ্জ এর দুঃখ কাটাখালী নদীখনন এর ফলে শহরের সৌন্দর্য দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। এখন আমাদের সিরাজগঞ্জবাসী হিসেবে কিছু জরুরি দাবী-দাওয়া রয়েছে।
১. সিরাজগঞ্জ যেহেতু নদী বন্দর, তাই নৌ বন্দর এর যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে আন্তজাতিক করণ ও জাহাজ এবং নৌ পরিবহন নিমাণ এর রুট সিলেক্ট করা। ২. সিরাজগঞ্জ সুতাকলের বিরাট জায়গাজমি পড়ে আছে- ঐ জায়গায় বৃহত্তর গামেন্ট শিল্প স্থাপন। ৩. সিরাজগঞ্জে রেলের গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্তর্জাতিক মানের রেলজংসন গড়ে তোলা। আসুন আমরা দল-মত সব ভুলে সিরাজগঞ্জ আমার সিরাজগঞ্জ এর সন্তান হিসেবে আমাদের ন্যায় সংগত দাবী-দাওয়া পূরুণে সচেষ্ট হই।