ঢাকাশুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি’র সহযোগিতায় গুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি তৈরী করে দিলেন প্রতিপক্ষরা

যুগের কথা ডেস্ক
মে ২৪, ২০২৩ ৪:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যুগের কথা প্রতিবেদক: দৈনিক যুগের কথা পত্রিকা সংবাদ প্রকাশের পর সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি’র হুমায়ুন কবীর এর সহযোগিতায় চন্ডিদাসগাঁতীতে গুড়িয়ে দেওয়া বাড়ি তৈরী করে দিলেন প্রতিপক্ষ এমদাদুল হক ও ফিরোজ আলী।

(২৪ মে ২০২৩) তারিখে ভোর ৬ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত গুড়িয়ে দেওয়া বাড়িঘর নতুনরূপে ঘর নির্মান করে দেওয়া হয়। নতুন ঘর, বেড়া নির্মানের সময় সর্বক্ষন সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই সৌমিক ইসলাম হৃদয়, এএসআই আব্দুর রাজ্জাক, হোসেন আলী ও আলতাফ হোসেন, ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সজল উপস্থিত ছিলেন। অসহায় নাসিমা ও তার তিন মেয়ে জমি ও নতুন টিন দিয়ে ঘরবাড়ি পেয়ে মাথা খোজার ঠাঁই নিশ্চিত হল। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হূমায়ুন কবীর এর এমন উদ্যোগকে স্বাগতম ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শিয়ালকোল ইউনিয়নের আপামর জনসাধারন। অসহায় নাসিমা ও তার মেয়ে মাথা গোজার ঠাঁই পাওয়ার খবর মুহূর্তের মধ্য ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সজল, ইউনিয়ন আওয়সমীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক সহ সর্বস্তরের জনগন সিরাজগঞ্জ সদর থানা ওসি হুমায়ুন কবীর সহ সকল পুলিশ জনগনের বন্ধু ও সেবক বলে মন্তব্যও করেন।

উল্লেখ্য, আজ থেকে ২৫ বছর পূ্র্বে চন্ডীদাসগাঁতী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসের এর মেয়ে নাছিমা খাতুনের সাথে উল্লাপাড়া উপজেলা বড়হর ইউনিয়নের বেল্লাবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মোহাম্মদ আলীর ঘরে ৩টি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। ৩টি কন্যা সন্তানই কাল হয়ে যায় নাছিনা খাতুনের জীবন। স্বামী মোহাম্মদ আলী নাছিমা খাতুনকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। নাছিমা খাতুন তার ৩টি কন্যা তাদের পিতার কাছে রাখতে চাইলে কন্যাদেরকে রাখেনি মোহাম্মদ আলী। নিরুপায় হয়ে নাছিমা খাতুন তিন শিশু কন্যাদের নিয়ে চলে যান গার্মেন্টেসে। গার্মেন্টেসে চাকুরী করে তিন কন্যাকে মানুষ করে বিবাহ দেন। এখন নাছিমা খাতুন বৃদ্ধ। বৃদ্ধ অবস্থায় নাছিমা খাতুন আর গার্মেন্টেসে আর চাকুরী করতে পারছেন না। তাই নাছিমা খাতুন পৈতৃক জমি নিতে চলে আসেন শিয়ালকোল ইউনিয়নের চন্ডীদাসগাঁতী গ্রামে। এখন নাছিমা খাতুনের বাড়ি গুড়িয়ে দিল আপন সহদর ভাই।

জানা যায়, মৃত আনোয়ার হোসেন এর চন্ডীদাসগাঁতী মৌজায় ৫৪ শতক জমি রয়েছে। অংশীদার হিসেবে ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে সন্তান এই জমির অংশ পেয়ে থাকেন। পৈতৃক সম্পত্তির অংশীদার হিসেবে মৃত আনোয়ার হোসেন এর মেয়ে নাসিমা খাতুন (৫০) ৪.৫ শতাংশ জমি পেয়ে থাকেন। পৈতৃক সম্পত্তির অংশীদার হিসেবে ৪.৫ শতাংশ জমি নিজ নামে খারিজ করে দুই মেয়ের নামে দান করেন। ৩ মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে টাকা দিয়ে মা নাছিমা খাতুনকে ৪.৫ শতাংশ জমিতে বাড়ি করে দেন।কিন্তু সেই বাড়ি ১৯মে ২০২৩ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আপন সহদর ভাই এমদাূুল হক (৫৫) গং দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বোনের বাড়ি উচ্ছেদ করে। বর্তমানে নাছিমা খাতুন ও তার ৩ কন্যা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এবিষয়ে দৈনিক যুগের কথা পত্রিকায় গত ২১ মে ২০২৩ইং তারিখে একটি তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদটি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর এর নির্দেশে ভূক্তভোগী নাছিমা খাতুন ও তার তিন মেয়ের মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে এমদাদুল ও ফিরোজকে নির্দেশ দেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।