তাড়াশ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও মামলায় পরপর দুইবার পরাজিত হয়ে পোড়া বিষ প্রয়োগ করে সরিষা ও ভূট্টার সাড়ে ৮বিঘা জমির সরিষা পুড়িয়ে দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি দায়ের করেন খুবজীপুর সরদার আব্দুল হামিদ দারুল উলুম মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুজ্জামান।
লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে জানাগেছে, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরদার আব্দুল হামিদ দারুল উলুম মাদ্রাসার নামে তাড়াশ উপজেলার পতিরামপুর মৌজায় ১একর ৩৮শতক ও ১একর ৩৩শতক ফসলি জমি ক্রয় করা হয়। গুরুদাসপুর গ্রামের শ্রী জগদীস চন্দ্র দেব এর নামে ডিএস, এসএ এবং আর এস রেকর্ড রয়েছে।জগদীস চন্দ্রের একমাত্র পুত্র মনিন্দ্র নাথ দেবের নিকট থেকে উক্ত জমি ক্রয় করেন তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের পতিরামপুর গ্রামের মোঃ রেজাউল করিম রেজা। গত ২৭/০২/২০১১ ইং তারিখে খুবজীপুর সরদার আব্দুল হামিদ দারুল উলুম মাদ্রাসা ১একর ৩৮শতক জমি ক্রয় করে। রেজাউলের আপন চাচাতো ভাই পতিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম ভুয়া জমিদারের নিকট থেকে ওই জমি পত্তনি নিয়েছে মর্মে সিরাজগঞ্জ আদালতে রেকর্ড সংশোধনের জন্য নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জে নিন্ম আদালত ও পরে সিরাজগঞ্জ জর্জ কোর্টে আপিল করে দুইবারই হেরে যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আপিল করেছেন। মামলায় পরাজিত হয়ে রফিক মাষ্টার গত বছর ভূট্টা লাগানো এবং এ বছর সরিষা বোনা জমিতে পোড়া বিষ দিয়ে সম্পুর্ন জমির ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। এব্যাপারে গত বছর এবং এ বছর ১১/০১/২৪ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তাড়াশ থানার তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুজ্জামান।
এবিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ভোরের কাগজকে বলেন, তদন্তে সরিষা নষ্ট করার বিষয়ের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অল্প দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দেওয়া হবে। খুবজীপুর সরদার আব্দুল হামিদ দারুল উলুম মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিসুজ্জামান বলেন, পরপর দুইবার মামলায় পরাজিত হয়ে রফিক মাষ্টার মাদ্রাসার জমির ফসল নষ্ট করছে। তিনি আরো জানান,গত বছর ওই জমিতে ভূট্টার আবাদ করা হলে একই কায়দায় তা নষ্ট করে দিয়েছে। পতিরামপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম (মাষ্টার) জানান, আমার বাবা পত্তনী নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। মামলায় হেরে গিয়াছি সত্য। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। এ বিষয়ে উক্ত জমির প্রথম ক্রেতা রেজাউল করিম রেজা বলেন, আমার বাপ চাচারা ভুয়া পত্তনি নিয়েছিল। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে জমির আসল মালিক জগদীস চন্দ্রের একমাত্র পুত্র মনিন্দ্র নাথ দেবের নিকট থেকে ক্রয় করেছিলাম। পারিবারিক কারণে উক্ত জমি খুবজীপুর সরদার আব্দুল হামিদ দারুল উলুম মাদ্রাসার নিকট বিক্রয় করে দিয়েছি। তারা এখন দখল করে আবাদ করছে। তবে কে বা কারা ওই জমির ভুট্টা ও সরিষা পোড়া বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, গতবছর সাড়ে ৮বিঘি জমিতে ভূট্টার আবাদ করা হয় রাতের অন্ধকারে পোড়া বিষ দিয়ে সমস্ত ভূট্টা নষ্ট করে দিয়েছিল।
এবারেও ওই জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে আবারও সরিষাতে পোড়া বিষ দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। #