চলমান সময়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নেমে এসেছে স্থবিরতা।করোনার স্থবিরতা কাটতে শুরু করেছে প্রাণ চঞ্চল হচ্ছে দেশ।এর মধ্যেই পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার চিত্র খানিকটা ভিন্ন। প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টি এড়িয়ে উপজেলায় বেড়েছে মাদকের প্রবণতা। উপজেলার বেশ কয়েকটি নতুন স্পটে শুরু হয়েছে মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের বিচরণ।
উপজেলা ঘুরে ও এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকা মাদকেসেবী ও জুয়াড়িদের প্রধান আড্ডাস্থল হলেও ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র ও থানা প্রশাসনের কারণে তা কমে গেছে। ফলে এই সকল মাদকসেবীরা বর্তমানে পৌর এলাকার বাইরে মাদক সেবনের জায়গা করে নিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপজেলার নৌবাড়িয়া চার রাস্তার মোড় থেকে পুঁইবিল নির্মাণাধীন ব্রীজ, শরৎনগর স্টেশন এলাকা, পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পারভাঙ্গুড়া গ্রামের সীমামুরো এলাকা, ভাঙ্গুড়া স্টেশন এলাকা, ভাঙ্গুড়া কেন্দ্রীয় শ্বশাণঘাট এলাকা। তবে পৌর এলাকার মেটেপুল এলাকায় এখনও মাদকের আড্ডা বসে। তবে ভয়াবহ অবস্থা পারভাঙ্গুড়া এলাকা। নির্জন এই সড়কে দিনের সব সময়টাতেই মাদকসেবীদের আড্ডা চলতে থাকে।
মূলত উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নে থাকা দেশি(বাংলা)মদের দোকান থেকে এরা মদ সংগ্রহ করে এই সকল এলাকায় গিয়ে সেবন করে ও জুয়া খেলে। উপজেলার সাথে অষ্টমনিষার যোগযোগের বিভিন্ন রুট থাকায় এরা নির্বিঘ্নে মাদক নিয়ে চলতে পারছে। এছাড়া বর্ষার সময়ে নৌকায় নিরাপদে পরিবহন হয় এই মাদক আবার নৌকাতেই চলে জুয়ার আসর।
অষ্টমনিষা ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউপি সদস্য বলেন, অষ্টমনিষায় থাকা বাংলা মদের দোকান থেকে এরা মদ সংগ্রহ করে নৌকা নিয়ে মদ সেবন করে এবং জুয়া খেলে। তাই এই সমস্যা সমাধানে ভাঙ্গুড়া থানা আরো উদ্যোগী হতে হবে।
এ বিষয়ে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি অষ্টমনিষায় মদ সেবন এবং জুয়াড়িদের ধরতে পারলে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভাঙ্গুড়া থানা প্রশাসনের বর্তমান ভুমিকায় মাদক ও জুয়ার অনেকাংশে কমে গেছে। উল্লেখিত স্থান গুলোতে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হবে। মাদক ও জুয়ার বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
মোঃ আকছেদ আলী
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি।
মোবাইল-০১৭১০-৯৮৬৪৩৫
০২/০৯/২০২০ইং