পটুয়াখালী কলাপাড়ায় কলেজ ছাএীকে ধর্ষণের আভিযোগে পটুয়াখালী জেলা ছাএলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকে গ্রেফতার করছে। র্যাব-৮ পটুয়াখালী ক্যাম্পের সদস্যরা।
৮(আগস্ট) রবিবার বেলা ১১ পটুয়াখালী প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকা থেকে সিদ্দিকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৮জুলাই ধর্ষনের শিকার কলেজ ছাএী বাদী হয়ে কলাপাড়ায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূএে যানা যায় রাঙ্গাবালী উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের ওই কলেজছাত্রী গলাচিপার একটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত। ফেইসবুকের মাধ্যমে দেড় বছর আগে সিদ্দিকের পরিচয় হয়। এর কয়েকদিন পর সিদ্দিক প্রেমের প্রস্তাব দেন ঔ কলেজ ছাএীকে প্রস্তাবে রাজি না হলে।
গত ২৬ জুলাই দুপুরে কৌশলে ওই ছাত্রীকে তার বাবা-মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে কলাপাড়ার পাঁচজুনিয়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় বাসায় কেউ না থাকায় ছাত্রীকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে সে। একপর্যায় বাবা মাকে ডেকে আনার কথা বলে সটকে পড়ে।
দুপুরে আবু বক্কর সিদ্দিকের বাবা- মা ও বোন বাসায় আসলে ওই ছাত্রী তাদের সব খুলে বলে। কিন্তু তারা বিশ্বাস না করে তার সাথে খারাপ আচরণ করে। সবার সামনে বসে ছাত্রীটি একাধিকবার মোবাইলে ফোনে আবু বকর সিদ্দিকের সাথে কথা বললেও তাকে সে চিনতে অস্বীকার করে। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের সহায়তা চেয়ে ৯৯৯ এ কল করে ওই ছাত্রী।
খবর পেয়ে সেই রাতে সিদ্দিকের বাসা থেকে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করলেও গ্রেফতার করতে পারেনি আবু বক্করকে। এ ঘটনায় পরেরদিন ২৭ জুলাই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে আবু বক্কর সিদ্দিককে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করে।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, র্যাব সদস্যরা আবু বক্কর সিদ্দিককে ধর্ষণ মামলায় পলাতক আসামী হিসেবে রবিবার আটক করে। সন্ধ্যায় তাকে থানায় হস্তান্তর করে। আগামীকাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।