ঢাকাসোমবার , ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আবহাওয়া
  3. আমাদের পরিবার
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. ইসলামী জীবন
  6. এনায়েতপুর
  7. কক্সবাজার
  8. করোনা আপডেট
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি-বাকরি
  11. জাতীয়
  12. নাগরিক সংবাদ
  13. পাঁচমিশালি
  14. বরিশাল বিভাগ
  15. বাংলাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শাহজাদপুরে ক্ষিরার বাম্পার ফলন, বেশি দাম পেয়ে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি

যুগের কথা ডেস্ক
নভেম্বর ৫, ২০২১ ৭:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আব্দুল কুদ্দুস : এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ও বীজ সার এবং কীটনাশক সুলভমূল্যে পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ক্ষীরার বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম ফসল ফলায় দাম বেশি পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। প্রতিবিঘা জমিতে ক্ষিরা চাষ করতে প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ১ বিঘা থেকে উৎপাদিত ক্ষিরা বিক্রি হয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। এ আবাদে পোকা-মাকড়ের ঝামেলা কম, তাই ক্ষিরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাহজাদপুরের গাড়াদহ, পুরান টেপরী, বওশাগাড়ী, নবীপুর, কায়েমপুর, ব্রজবালা, ও নরিনাসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত ক্ষিরা বেচাকেনার জন্য উপজেলার গাড়াদহ আড়ৎটি প্রায় ২০ বছর আগে চালু হয়। এই এলাকার ক্ষিরা চাষীরা এই আড়তে বিক্রি করতে আসেন। প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে শুরু হয় বেচাকেনা।

এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ১৫/২০ জন শ্রমিক। কেনাবেচার মধ্যদিয়ে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে ভরে যায় মহাজনদের আড়ৎ। আড়তে প্রচুর ক্ষিরা আমদানি হওয়ায় ওজনের পরিবর্তে বস্তা চুক্তিতে বিক্রি করা হয়। প্রকারভেদে প্রতি বস্তা ক্ষিরা বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। এ আড়তটি অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে চলে জানুয়ারী মাস পর্যন্ত।

উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদহ গ্রামের খিরা চাষি আশরাফ আলি জানান, প্রতি বিঘা জমিতে খিরার আবাদ করতে ১৫-২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এবার বিঘা প্রতি খিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকায়।

পাবনার বেড়া থেকে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, শাহজাদপুর অঞ্চলের উৎপাদিত খিরার মান ভালো, দামও কম। ক্ষিরার মান ভালো হওয়ায় এর কদর সারাদেশে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় খিরা রপ্তানি হচ্ছে।

উপজেলার চর টেপরী গ্রামের আবু সামা ও মন্টু মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, এলাকায় ক্ষীরা চাষের জন্য জমি লিজ পাওয়াই যায় না। কারণ ক্ষীরা চাষে কৃষক লাভ পাওয়ায় তারা ক্ষীরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আর যাদের নিজস্ব জমি আছে তারা আরও বেশি লাভবান হচ্ছেন।

শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম জানান, অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ করা যায়। বাজারে দেশীয় উফশী ও হাইব্রীড দুই জাতের খিরা চাষ হয়েছে। উপজেলায় এবছর প্রায় ১৪০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে খিরার সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে গাড়াদহ ইউনিয়নে। ক্ষীরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। কৃষকেরা বিঘা প্রতি খরচ বাদে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে লাভ করছেন। এভাবে আগামীতে কৃষকেরা খিরা চাষে আরো উদ্যোগী হবেন বলে তিনি জানান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।