বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৩টি টিসিবি কার্ডের (প্রতিটি কার্ডের জন্য বরাদ্ধ সয়াবিন তেল ২ কেজি, চিনি ১কেজি, ডাল ২কেজি ও সোলা ১কেজি) পণ্য আমার জিম্মায় আছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানাতে দেরি হয়ে গেছে। এখনই সচিবকে দিয়ে অভিযোগ করা হবে। উপজেলা প্রশাসন অনুমতি না দিলে নিজ জিম্মায় থাকা টিসিবি পণ্য কার্ডধারীদের মধ্যে বিক্রি করবো না।
বাগবাটি ইউপির ২নং ওয়ার্ডের সদস্য রুহুল আমিন জানান, পরিষদের গুদামে পণ্য মজুদ রেখে ডিলার জাকিরুল ইসলাম সান্টু ইউনিয়নের কার্ডধারীদের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিতরণ করে থাকেন। গত দুইদিন অনেক অসহায় মানুষ টিসিবি পণ্যের জন্য গেলেও নানা ভুল-ত্রুটির অজুহাতে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে পরিষদের গুদাম থেকে পিকআপে তুলে টিসিবির পণ্য পাচার করা হচ্ছিল। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা জনগনকে সাথে নিয়ে পিকআপটি আটক করার পর থানায় সংবাদ দেওয়া হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে টিসিবির পন্য উদ্ধারের পর চেয়ারম্যানের জিম্মায় দিয়েছে। তবে পাচার কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও চালক এবং ডিলারের ম্যানেজার বাবু চৌধুরী ঘটনাস্থলে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নান্নু খান বলেন, ঘটনাস্থলে যা করেছি, সব ওসি সাহেবের নির্দেশে করেছি।
সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, আটক করা টিসিবির পণ্য চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। অন্য বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে পরবর্তিতে জানাতে পারবো।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুকাতে রাব্বি জানান, ঘটনাটি শুরুতে কেউ আমাদের অবগত করেনি। বুধবার দুপুরের পর বিষয়টি জানতে পেরে পাচার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়কেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের জিম্মায় থাকা টিসিবি পণ্য পরবর্তিতে কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে ইউপির গোডাউন থেকে টিসিবির পণ্যগুলো রাতের আধারে অন্যত্র নেওয়া হচ্ছিল বলে দাবী করেছেন ডিলারের ম্যানেজার বাবু চৌধুরী।