মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন, জিগজ্যাগ ইট ভাটার পরিবেশে ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি সহ কয়লা সংকট সমাধান।
বক্তারা আরো বলেন, আমাদের ইট ভাটার মালিক সমিতির মালিকদের দোষ কোথায়, জেলার মোট বৈধ ১৪০টি ইটভাটা রয়েছে, রাজস্ব খাত, ইনকাম ট্যাক্স, নিয়ম কানুন মেনেই ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছি। আমাদের ইট ভাটা বন্ধ থাকলে শ্রমিকসহ ভাটার মালিকেরা বিশাল হুমকির মুখে সম্মুখীন হবে। কয়লা নেই, এলসি নেই, জালানি সংকট সমাধানে ও ভাটা চালু রাখার দাবিতে আমরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছি।
জেলায় প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এছাড়াও হাজার হাজার শ্রমিকদের কর্মসংস্থান গড়ে তোলা হয়েছে। তারপরও ছাড়পত্র দেওয়া হয় না। কিন্তু ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। কয়লা আমদানিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কয়লা সংকট দুর করতে হবে এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত জিগ-জ্যাগ ইট ভাটা পরিচালনার অনুমোদন চাই বলে দাবী করেন বক্তাগণ এবং শ্রমিকের স্বার্থে তাদের দাবি সুনিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে আকুল আবেদন জানান বক্তারা।
এসময় জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইট ভাটা সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক সহ প্রায় দুই হাজার শ্রমিকগণ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই সকল দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।