এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী চক চন্ডি গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে নুর আলম বাদী হয়ে গত (গত ২৯ আগষ্ট) সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে, গিয়ে দেখা যায় বহুলী ইউনিয়নের চক চন্ডি গ্রামের মৃত তেল হোসেনের ছেলে মো. লিটন, মো. আলাউদ্দিন, মো. হাসিনুর ও মো. হাসিনুরের ছেলে মো. রোকন, মো. রাকিব গং জোরপূর্বক নুর আলমের জমিতে ঘর উত্তোলন করেছে।
এ ব্যাপারে নুর আলম অভিযোগ করে বলেন, আমার ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমিতে জোর করে লিটন গ্যাংরা ঘর তুলতেছে। তিনি আরো বলেন, আমার ক্রয়কৃত ধীতপুর আলাল মৌজার জে এল নং-৯০, খতিয়ান নং-৯০৬, আরএস খতিয়ান নং-২০, আরএস দাগ নং-৬৬১, জরিম পরিমান-২ শতাংশ। কিন্তু হটাৎ করে গত ২৯ আগষ্ট সকালে তারা ১০ থেকে ১৫ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে আমার জমিতে জোর করে ঘর উত্তোলন করে। এতে আমি বাঁধা দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং রাতে আমার বাড়িতে অনেক লোকজন আসা যাওয়া করেন।
এখন আমার জীবন হুমকির মুখে আছে। তারা সমাজের আইন-কানুন, বিচার-ব্যবস্থা কিছুই মানে না। এ বিষয় নিয়ে একাধিকবার শালিশের ব্যবস্থা করা হলেও তারা কোনো বিচার মানে না। নুর আলম আরো বলেন, গত ২০২২ সালে আমি আমার ক্রয়কৃত জমির ৬২৩ দাগের ৩.৯৬ ও ৬৩১ দাগের ০.৫৪ খাজনা খারিজ পরিশোধ করেছি। এখন আমার নিজের জমিতে আমি যেতে পারছিনা। তাই আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে লিটন গংরা বলেন, এটা আমার বাবা জমি। আমাদের কাছে আমাদের নামে ওই জমির দলিল পর্চাসহ সকল কাগজপত্র আছে। তাই আমরা ঘর তুলেছি।
এ বিষয়ে বহুলী ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসা হলেও কোনো সুরহা হয় নাই। দুপক্ষ এক হলে প্রয়োজনে তাদেরকে নিয়ে আবার বসা হবে।
এ বিষয়ে সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।